অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিফা বিশ্বকাপ- ২০২২ চলাকালে সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ১৪ লাখেরও বেশি ভিনদেশি ফুটবলপ্রেমী কাতার সফর করেছেন। এদিকে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দর্শকের সংখ্যা হিসাব করলে তা প্রায় ৩৪ লাখে দাঁড়াবে।
কাতারি গণমাধ্যম পেনিনসুলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়োজনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লুসাইল স্টেডিয়ামে প্রতি ম্যাচে দর্শকদের গড় উপস্থিতি ছিল ৫৩ হাজার। কিন্তু স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। অর্থাৎ, প্রতি ম্যাচে প্রায় ১৩ হাজার অতিরিক্ত দর্শক এখানে খেলা উপভোগ করেছেন।
এদিকে, এবারের আসরটি ছিল আধুনিক ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ে শেষ হওয়া আসর। ফাইনালের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন একটির বেশি ম্যাচে হাজার হাজার দর্শক অংশ নেন।
কাতারের আটটি অত্যাধুনিক স্টেডিয়ামই রাজধানী দোহা থেকে এক ঘণ্টার দূরুত্বে অবস্থিত এবং এসব স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য খুব সহজ মেট্রো, বাস ও ট্যাক্সি সারি্ভস চালু ছিল।
তাছাড়া বিশ্বকাপ চলাকালে ফুটবল ভক্তরা ফিফা ফ্যান ফেস্টিভ্যাল, কর্নিচে অ্যাক্টিভেশন ও আরও অনেকগুলো বিনোদনমূলক ইভেন্টে যোগদান করার সুযোগ পেয়েছেন। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে প্রতিদিন পাঁচ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ এসব বিনোদনমূলক ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।
কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির মহাসচিব হাসান আল থাওয়াদি বলেন, ২০২০ সালে আমরা বিশ্বকে দারুণ কিছুর প্রত্যাশা করার জন্য বলেছিলাম। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি নজিরবিহীনভাবে পূরণ করেছি।
‘এবারের আসরটি বিশ্বকাপ ফুটবলের একটি অবিশ্বাস্য সংস্করণ। আমরা যে সফল ও বিশাল আয়োজন করেছি, তাতে ভবিষ্যতে যেকোনো মেগা ইভেন্টের আয়োজকরা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেন বলে আশা করছি।’
আল থাওয়াদি আরও বলেন, আমরা একটি সংক্ষিপ্ত, সহজে অংশ নেওয়া যায় ও পরিবারবান্ধব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পেরে খুব গর্বিত। টুর্নামেন্টটি সাংস্কৃতিক বিনিময়কে এমন একটি স্তরে নিয়ে গেছে, যা ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি।
‘সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন পরিবহণব্যবস্থা চালু থাকার ফলে দেশ-দেশান্তর থেকে আসা ফুটবলপ্রেমীরা সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পেরেছেন। সবাই স্বাধীনভাবে নিজ দেশের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে পেরেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ভিন্ন দেশ থেকে আসা ফুটবলপ্রেমীরা প্রথমবারের মতো কাতারি ও আরবি সংস্কৃতির চমৎকার অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। খেলোয়াড়, সমর্থক, গণমাধ্যম, স্বেচ্ছাসেবকসহ টুর্নামেন্টের সব অংশীদারের কাছ থেকে আমরা যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, তা অত্যন্ত ইতিবাচক।
‘আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে, এ টুর্নামেন্ট আমাদের দেশ ও পুরো মধ্যপ্রাচ্যের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।’ সূত্র : দ্য পেনিনসুলা
Leave a Reply